ফতুল্লায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় যুবকের চোখ উপরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রুবেল ও রোকসানা গংদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাগলা আলীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে আলীগঞ্জ রেললাইন এলাকার মৃত সোহরাবের ছেলে ও মেয়ে চিহ্নিত মাদক কারবারি মোঃ রুবেল (৩৬), মোসাঃ রোকসানা (৪০), রিমা (৩২) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় ভুক্তভোগী মোঃ সেন্টু হোসেন বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলীগঞ্জ রেললাইন এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি রুবেল ও মুক্তারের স্ত্রী রোকসানা, রিমা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছিল। মাহে রমজান মাসে প্রকাশ্যে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় পাশের চা দোকানী সেন্টুর উপর অতর্কিত হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা এবং তার চোখ উপরে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে তার সাথে থাকা নগদ ১৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এমতাবস্থায় আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ্ রয়েছে।
আলীগঞ্জ রেললাইন এলাকার ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তিনি জনান, আলীগঞ্জ রেললাইন সহ এর আশপাশের এলাকায় তারা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের অত্যাচারে এখন এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। প্রকাশ্যই মাদক বেচাকেনা করছে বলেও তিনি জানান।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আলীগঞ্জের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী সকলের সাথেই তারা খারাপ আচরণ করে আসছে। আমরা এখন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কিছু করতে পারছি না। কারণ থানা পুলিশ সামান্য অর্থের বিনিময়ে তাদের পক্ষেই কথা বলে। অনেকেই এখন মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায়। মাদক ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষমতা। তাদের কথায় নাকি থানা পুলিশ চলে। আসলে কতটুকু সত্য সে বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি অতিদ্রুত এ ধরনের চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি), নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আযম মিয়া জানান, অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে অতিদ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে মাদক ব্যবসায়ী সে যে-ই হোক না কেনো, তাদেরকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।