ইজতেমায় আসা মুসল্লি শামিউল হোসেন বলেন, ‘আমরা বিকেল থেকে রান্নার আয়োজন করছিলাম। মাগরিবের নামাজের পর রান্না চুলায় বসানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে।’
ভোলা সদর থেকে এসে ইজতেমার বাইরে অবস্থানরত মো. হান্নান মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকা থেকে মোট ৭০ জন সাথী একসঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় ইজতেমা ময়দানে আসছি। বুধবার মধ্যরাতের বৃষ্টিতে আমাদের সকল মালামাল ভিজে যায়। বৃহস্পতিবার দিনভর সেই মালামাল শুকিয়ে আবারও ব্যবহার উপযোগী করলেও সন্ধ্যার পর থেকে নামা বৃষ্টিতে আবারো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চারদিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। ১ম পর্বে অংশ নিতে এখন মাঠে আসছেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।
আয়োজকরা বলছেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এখানে। দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের এ জুমায় ইমামতি করবেন। বৃহত্তম জুমার এ নামাজে অংশ নিতে গাজীপুর ও আশপাশের জেলা থেকে আগের রাতেই ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিচ্ছেন অনেক মুসল্লি।