চট্টগ্রামThursday , 17 February 2022
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইসলাম
  5. খেলাধুলা
  6. গণমাধ্যম
  7. জাতীয়
  8. জেলা/উপজেলা
  9. জোকস
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. নারায়ণগঞ্জ
  13. নারী ও শিশু
  14. নির্বাচনের মাঠ
  15. নির্যাতন

পাগলায় ফুটপাত দখল করে চাঁদাবাজি, সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট

Link Copied!

  • দিনের বেলায় মালবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবি এলাকাবাসী।
  • বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ অবৈধ অটো রিকশার স্ট্যান্ডে যানজট বৃদ্ধি।
  • বর্তমানে নেই কোনো যানজট নিরসন কমিটি: পাগলা বাজার সমিতি।
  • ফুটপাত দখল করে চাঁদা আদায়ে বিষয়ে আমার জানা নেই: চেয়ারম্যান সেন্টু।
  • আমরা যানজট নিরসন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি: ওসি রাকিবুজ্জামান।

সাদ্দাম হোসেন শুভ


অনিন্দ্যসুন্দর পৃথিবীতে মানুষের বাঁচার আকুতি বলে দেয়, জীবন অনেক দামি। জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে বা রক্ষা করতে প্রচেষ্টার বিন্দুমাত্র কমতি নেই মানুষের। মানুষ অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ছুটে যায় জীবন বাঁচাতে। একজন ডাক্তার রোগীকে বাঁচাতে প্রচেষ্টার কমতি রাখেন না। কিন্তু মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুলেন্স যখন হাসপাতাল পর্যন্ত না পৌঁছানোর কারণ হয় ‘যানজট’ আর সেটার পরিণতি যদি হয় মৃত্যু- পরিজনের জন্য এমন দুঃখ ঘোচানো সত্যিই দুরূহ। এমনিতেই স্বাস্থ্যসেবা পেতে যেখানে জনসাধারণের বেগ পেতে হয়, সেখানে যানজট যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

 

সদর উপজেলার পাগলা বাজার এলাকায় যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী, যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সময়। প্রতিদিন হাজারো কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত যানজটের কারণে। পাগলা বাজার এলাকায় যানজটের বিভিন্ন কারণ রয়েছে- যেমন প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তা কম। আমরা জানি, একটি আধুনিক নগরীতে মোট আয়তনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ রাস্তা বা সড়ক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু পাগলায় আছে মাত্র ৫ থেকে ৮ শতাংশ। প্রয়োজনের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ সড়ক আছে এই এলাকায়।

 

অন্যদিকে ট্রাফিক বিভাগের হিসাবমতে, ৩৫ শতাংশ বা তারও বেশি দখল হয়ে আছে অবৈধ পার্কিং এবং নানা ধরনের দখলদারদের হাতে। এ ছাড়া ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় প্রধান সড়কেই হেঁটে চলেন এলাকাবাসী। ফলে যানজটের সঙ্গে আছে জনজট। ৫০ শতাংশ যাত্রী ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক অটো রিকশায় যাতায়াত করেন। অটো রিকশার দখলে থাকে ৭০ শতাংশেরও বেশি সড়ক। বাকি ৮৫ শতাংশ যাত্রী অন্য ধরনের মালবাহী ট্রাক ও গণপরিবহন ব্যবহার করেন। পাগলা বাজার এলাকায় সুনির্দিষ্ট পার্কিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে অফিস এবং ব্যবসা-বাণিজ্য চলাকালে ৮০ শতাংশ গাড়ি ব্যস্ত সড়কে যত্রতত্র পার্ক করা হয়। তা ছাড়া পাগলা বাজার থেকে দেলপাড়া রোডে দিনের বেলায় মালবাহী ট্রাক চলাচলের ফলে রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে এইসব এলাকার ব্যবসা বানিজ্য।

 

সরজমিন গিয়ে জানাযায়, পাগলা বাজার এলাকায় রাস্তার দুই পাশে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫ থেকে ৬ শতাধিক ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের দোকান পাট। সেইসব দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে একটি সিন্ডিকেট। সেই অসাধু সিন্ডিকেটের কারণেই ফুটপাত দখলমুক্ত করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে বলেও জানাযায়।

 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পাগলা বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন যাবত আমাদের ব্যবসা বানিজ্য অনেক খারাপ গেছে। এখন আবার যানজট আমাদের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই সমস্যার সমাধান করতে হলে রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান পাট দখলমুক্ত ও দিনের বেলায় ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে হবে। তাহলেই আশাকরি কিছুটা যানজটমুক্ত হবে আমাদের পাগলা বাজারসহ আশপাশের এলাকা। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি যানজটমুক্ত পাগলা এলাকা।

 

এ বিষয় পাগলা বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ফুটপাত দখল করে কারা চাঁদা আদায় করছে আমি জানি না। আর বর্তমানে পাগলায় কোনো যানজট নিরসন কমিটি নেই। তিনি আরো বলেন, তীব্র যানজটে আমার ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অতিদ্রুত পাগলা যানজট নিরসনে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

 

এ বিষয় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে কারা চাঁদা আদায় করছে সেই ব্যাপারে আমার জানা নেই। তবে পাগলা বাজার এলাকায় যানজট নিরসনের জন্য যদি ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হয়, তাহলে আমরা অতিদ্রুত জেলা প্রশাসকের সাথে অলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাকিবুজ্জামান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। তবে স্থায়ীভাবে যানজটমুক্ত কিভাবে করা সম্ভব হয়, সেই ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা এবং আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

বিশেষ করে পাগলা-দেলপাড়া রোডে দিনের বেলায় মালবাহী ট্রাক চলাচল ও ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক অটো রিকশার ভ্রাম্যমাণ স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী ওঠানামা করার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পথচারীদের। কখনও কখনও অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে। একজন রোগী যানজটের কারণে হাসপাতালে যেতে না পারা এবং মৃত্যুবরণ করা আমাদের সত্যিই অপরাধী করে দেয়। অনেক সময় অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনও অসহায় এই যানজটের কাছে। সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক ইউনিয়ন গড়ে তুলতে যানজট নিরসনে ভূমিকা নিতে হবে সর্বাগ্রে। যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনওর হস্তক্ষেপ কামনা করেন অত্র এলাকার সচেতনমহল।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
%d bloggers like this: